নয়াদিল্লি: ২১ দিনের লকডাউন ঘোষণার জেরে ২৪ মার্চের পর থেকে দেশজুড়ে বন্ধ রয়েছে রেল পরিষেবা। করোনা মোকাবিলায় এই তাত্‍পর্যপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু বর্তমানে ২১ দিনের ১৪ দিন প্রায় অতিক্রান্ত। এমতাবস্থায় এখনও কমেনি করোনার প্রকোপ, ফলে রেল পরিষেবা নিয়ে ধন্দে অনেকেই। তবে ট্রেন চালানোর ব্যাপারে এখনও এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি রেল। সরকার লকডাউন তুলে নেওয়ার ঘোষণা করলে তবেই এই সিদ্ধান্ত নেবে ভারতীয় রেল।


তবে ১৫ এপ্রিল থেকে যাতে ট্রেন চলতে পারে সে ব্যাপারে জোনগুলিকে ইতিমধ্যে রেলের তরফে নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে বলে খবর। তবে রেলমন্ত্রক জানিয়েছে, এখনও সরকারি ভাবে ট্রেন চালানোর কোনও কথাই ঘোষণা করা হয়নি।কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে অবশ্যই রেলের কর্তাদের জানানো হবে। অন্যদিকে লকডাউন উঠে গেলে কয়েকটি ধাপে রেল চলাচল স্বাভাবিক হবে বলে সংবাদসংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন এক রেলকর্তা।

শনিবার রেলমন্ত্রক টুইট করে জানিয়েছে, ট্রেন চলাচল, বিশদ, ফ্রিকোয়েন্সি ইত্যাদি সহ কিছু তথ্য বেশ কিছু সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। কিন্তু বাস্তবে রেল এমন কোনও পরিকল্পনা এখনও করেনি। এমন কোনও পরিকল্পনা করা হলে তা অবশ্যই রেলের কর্তাদের জানানো হবে বলে টুইটে উল্লেখ করা হয়েছে।
সংবাদসংস্থা পিটিআই-এর খবর অনুযায়ী, রেলের এক কর্তা জানিয়েছেন, রেল পরিষেবা চালু হলে যাত্রীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য কিছু পদক্ষেপ চালু করা যেতে পারে। যাত্রীদের স্ক্যানিং হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।

এছাড়া স্টেশনগুলিতে উপচে পড়া ভিড় রোধে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া উচিত্‍ সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে রেলকে। এছাড়া রেল পরিষেবা শুরু হলে সব যাত্রীকে মাস্ক ব্যবহার করার অনুরোধ করা হবে। একই সঙ্গে আরোগ্য সেতু অ্যাপের মাধ্যমে পরীক্ষা করে শুধুমাত্র সুস্থদেরই ট্রেন সফরের অনুমতি দেওয়া হবে বলে জানা যাচ্ছে।
অপর একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, যে সব শ্রমিকরা বিভিন্ন জায়গায় আটকে রয়েছেন তাঁদের ঘরে ফেরার ব্যবস্থা করতে পারে রেল। তবে যেসব জায়গায় করোনার হটস্পট চিহ্নিত হয়েছে, সে সব জায়গায় খুব সম্ভবত ট্রেন চলবে না।

করোনা আবহে 'প্রচেষ্টা', নতুন প্রকল্পের ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী


Post a Comment

Previous Post Next Post