গ্রামীণ অর্থনীতিকে স্বনির্ভর করতে রাজ্য সরকারের বৈপ্লবিক কর্মসূচি 'মাটির সৃষ্টি'
কলকাতাঃ 'মাটির সৃষ্টি' নামে নতুন প্রকল্প ঘোষণা করল রাজ্য সরকার।
ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং পশ্চিম বর্ধমান-সহ মোট ছ'টি জেলার মোট পঞ্চাশ হাজার একর অনুর্বর জমিতে বিভিন্ন কাজ করা হবে ওই পরিকল্পনার আওতায়। বুধবার নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "৫০,০০০ একর জমিতে নতুন প্রকল্পের ঘোষণা করছি। আড়াই লক্ষের বেশি মানুষ এতে উপকৃত হবে। পরিবেশ বান্ধব প্রজেক্ট। নাম মাটির সৃষ্টি
পশ্চিমাঞ্চলের বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূম, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুরে এই প্রকল্প কার্যকর হবে। "পশ্চিমাঞ্চলের এই ছয় জেলার জমি রুক্ষ। ফলে চাষ করার জন্য উপযোগী নয়। ৫০ হাজার একর পতিত জমি কাজে লাগানোর জন্য মাটির সৃষ্টি।
স্থানীয় চাষিদের ১০ থেকে ২০ একর করে পতিত জমির সঙ্গে সরকারি খাস জমি যুক্ত করে তৈরি হবে মাইক্রো সাইট। সেখানেই সমবায়ের মাধ্যমে পণ্য উত্পাদন করা হবে। রাজ্যের দাবি, এই প্রকল্পের ফলে গ্রামীণ অর্থনীতি মজবুত হবে।
মাইক্রো লেভেল হর্টিকালচার , মাছচাষ, পশুপালন, জল সম্পদ দফতরের তত্বাবধানে কাজ রুপায়ন হবে। পতিত জমি সঙ্গে সরকারি খাস জমি একত্রিত করে সেই জমি মাটি সৃষ্টির বিভিন্ন প্রকল্পে কাজে লাগবে। ছোট ছোট সমবায় তৈরি হবে সংশ্লিষ্ট কৃষকদের নিয়ে।
তাতে যুক্ত হবেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা। সমবায় ব্যাঙ্ক লোন দেবে, ১০০ দিনের কাজের মাধ্যমে নিয়োগ হবেন কৃষক, শ্রমিকরা। ইতিমধ্যে ৬৫০০ একর জমিতে প্রাথমিক স্তরে কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।
তবে প্রকল্পের ক্ষেত্রে কোনও ঠিকাদার সংস্থা নিয়োগ হবে না। স্থানীয় মানুষদের নিয়ে কাজ করা হবে। প্রথম পর্যায়ের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে কাজে লাগালে ১০০ দিনের কাজের মাধ্যমে তা করা হবে।




Post a Comment