দুর্গাপুর: রেশনে বরাদ্দ সামগ্রী না পেয়ে  তুমুল বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা। উত্তেজিত গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন খোদ পঞ্চায়েত সদস্যও। প্রায় ঘণ্টাদুয়েক ধরে তাঁর বাড়ি ঘেরাও করা হয়। শুক্রবার সকালের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল দুর্গাপুরের আররা কালীনগরের সিধু কানু ময়দানের কাছে।


একজন ব্যক্তি তাঁর রেশন কার্ডের বিনিময়ে কতটা সামগ্রী পাবেন, তা ঠিক করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। তা সত্ত্বেও গ্রামবাসীদের অভিযোগ, রেশন ডিলার প্রতিদিন রেশন সামগ্রী কম দেন। কিছু বলতে গেলেই  রেশন ডিলার স্থানীয়দের সঙ্গে ঝগড়াঝাটি করেন। পঞ্চায়েত সদস্যের কাছে গিয়ে অভিযোগ জানাতে বলেন বলেও অভিযোগ। প্রতিদিন একই কথা শুনে শুনে বিরক্ত স্থানীয়রা। শুক্রবার সকালেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে। তাতেই বেজায় চটে যান রেশন সামগ্রী নিতে আসা গ্রাহকেরা।

চরম ভোগান্তির শিকার হওয়ার পর বাধ্য হয়ে শুক্রবার তাঁরা মলানদিঘি পঞ্চায়েতের সদস্য ফেলারাম গোস্বামীর বাড়িতে চড়াও হন। দীর্ঘক্ষণ বাড়ি ঘেরাও করেন তাঁরা। দেখাতে থাকেন প্রবল বিক্ষোভ।  
বাধ্য হয়ে পুলিশে খবর দেন ওই পঞ্চায়েত সদস্য। লকডাউনের মাঝে সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে বিক্ষোভ হঠাতে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছয়। যদিও পঞ্চায়েত সদস্যের অভিযোগ, পুলিশ খবর পাওয়ার দীর্ঘক্ষণ পর ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। ওই পঞ্চায়েত সদস্যের দাবি, ততক্ষণে তিনি নিজেই গ্রামবাসীদের বুঝিয়ে বিক্ষোভ হঠিয়ে দেন। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন তিনি।

তবে কালীনগরের গ্রামবাসীদের হুঁশিয়ারি যদি রেশনে ঠিকমতো মালপত্র দেওয়া না হয়, তবে লাগাতার আন্দোলনে নামবেন তাঁরা। করোনাকে দূরত্ব সামাজিক দূরত্ব স্থাপনে লকডাউন জারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তারপরেও রেশন সামগ্রীর পরিমাণ নিয়ে বিক্ষোভের জেরে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার শর্ত যে অনেকটাই ক্ষুন্ন হল, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।

Post a Comment

Previous Post Next Post